বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের কারণে মাত্র ১৩ মাসেই ভেঙে পড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত বক্স কালভার্ট। এটির অবস্থান শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মাঝাপাড়ায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের কারণেই বক্স কালভার্ট ভেঙে গেছে। অনিয়মের তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে পুনরায় বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি৩) এর আওতায় ধানশাইল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মাঝাপাড়া আব্দুল হামিদের বাড়ির সম্মুখে ২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। ধানশাইলের শাহজাহান কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজটি করে। কাজ শেষে ২০১৯ সালের ৩০ মে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল প্রদান করা হয়। বক্স কালভার্টের ওপর দিয়ে মানুষ চলাচল শুরুর ১৩ মাস পর চলতি বছরের জুন মাসের বন্যায় কালভার্টটি ধসে পড়ে। এটি নির্মাণের পর থেকে এলাকাবাসীরা নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ তোলেন।
স্থানীয় মোশারফ ও আজিলা বেগম জানান, কালভার্ট নির্মাণে পরিমাণের চেয়ে কম রড ও সিমেন্ট এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এ কারণে বছর না যেতেই এটি ভেঙে গেছে। বর্তমানে যাতায়াতে তাদের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এটি সমাধানে দ্রুত সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শাহজাহান সরকার জানান, এ কাজগুলো আমরা চেয়ারম্যান-মেম্বাদের মানিয়ে নিয়েই করে থাকি। ভাই আমি একটু দলিলের কাজে ব্যস্ত আছি। আপনার সঙ্গে এ ব্যাপারে পরে যোগাযোগ করবো।
বক্স কালভার্ট নির্মাণে এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিন্টু মিয়া (বর্তমানে টাঙ্গাইলে কর্মরত) জানান, এলজিএসপি’র কাজে আমাদের দেখভালের দায়িত্ব থাকে না। আমরা শুধু প্রাক্কলন তৈরি করে দেই। আমি যে প্রাক্কলন তৈরি করে দিয়েছিলাম ওইভাবে নির্মাণ করা হলে এতো দ্রুত সময়ে ভেঙে যাওয়ার কথা না। আমার মনে হয় প্রাক্কলন অনুযায়ী চেয়ারম্যান-মেম্বার কাজ করেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মধু মিয়া বলেন, বক্স কালভার্টটি অনেক আগে নির্মাণ করা হয়েছে। বন্যার পানির চাপে এটি ভেঙে গেছে।
এ ব্যাপারে ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এটি জানতাম না যে কালভার্ট ভেঙে গেছে। আপনার মাধ্যমেই জানলাম। নিম্নমানের কাজ করা হয়নি, প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। আমার এলাকাটি বন্যা কবলিত এলাকা হওয়ায় পানির তোড়ে হয়তো এটি ভেঙে গেছে।
ঝিনাইগাতী ইউএনও রুবেল মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply